গুজরাতের লোথাল থেকে খনন করে পাওয়া দাবার বোর্ড |
চতুরঙ্গ বা দাবা একটি প্রাচীন ভারতীয় কৌশল-ভিত্তিক খেলা যার আধুনিক কিছু সংস্করণের মধ্যে বোর্ডভিত্তিক খেলা দাবা, সোগি, মাকরুক প্রভৃতি প্রধান। এটি 'চতুর' শব্দটি থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হয়, যার অর্থ বুদ্ধিমত্তাধারী / বুদ্ধিমান; আবার 'চার' থেকে 'চতুর' এবং 'দিক' থেকে 'অঙ্গ' যোগে 'চতুরঙ্গ' (চারদিকে গমন-যোগ্য) কথাটির উদ্ভব বলেও অনেকে মনে করেন।
চতুরঙ্গ বা দাবা শুরুর অবস্থায় 'রাজা'রা মুখোমুখি অবস্থানে থাকে না; সাদা রাজার অবস্থান থাকে e1 ঘরে এবং কালো রাজার অবস্থান থাকে d8 ঘরে। }}
দাবা খেলারত শ্রীকৃষ্ণ ও রুক্মিণী (হস্তঅঙ্কিত চিত্র) |
গুপ্ত শাসনামলে, ৬ষ্ঠ শতকের কাছাকাছি সময়ে, ভারতে চতুরঙ্গ খেলার উদ্ভব ঘটে। পারসিয়ান সসনিয়ন শাসনামলে, ৭ম শতকে, এটি শতরঞ্জী খেলা হিসাবে পরিবর্তিত হয়; যা মধ্যযুগে ইউরোপে গিয়ে বর্তমান 'দাবা' খেলায় পরিণত হয়। কিন্তু ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণ অনুসারে লঙ্কার রাক্ষস রাজা রাবণের রাজমহিষী বা স্ত্রী মন্দোদরীকে চতুরঙ্গ বা দাবা খেলার জনক বলা হয়েছে।
চতুরঙ্গ খেলার সঠিক নিয়ম-কানুন সম্পর্কে কিছু জানা যায় না; তবে দাবা খেলা বিষয়ক গবেষকগণ অনুমান করেন যে এটি মূলত: এর উত্তরাধিকারী খেলা শতরঞ্জীর মতো একই ধরনের নিয়মানুসারে খেলা হতো। তবে, সুনির্দিষ্টভাবে বললে, এর 'গজ' (হাতি)-এর চাল সমূহ ছিলো অনিশ্চিত ধরনের, যা আধুনিক দাবায় 'বিশপ'-এর চালের অগ্রদূত হিসাবে বিবেচনা করা যায়।
তথ্যসূত্র- উইকিপিডিয়া
0 coment rios: